পাকিস্তানকে ঘরের মাটিতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে টাইগাররা। অথচ পাকিস্তান যাত্রার আগেও এমন কিছু কল্পনা করেনি কেউই। দুই ভাগে বাংলাদেশ দল দেশে ফিরলেও ফিরেননি দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি পাকিস্তান থেকে চলে যান ইংল্যান্ড। বিসিবি থেকে এনওসি নিয়ে কাউন্টি খেলতে চলে যান সেখানে। ভারত সফরের আগে মাত্র একটি ম্যাচ খেলবেন তিনি।
কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে রাজধানীর আদাবরে হত্যা মামলা করায় বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তার খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এরপর এক আইনজীবী পাকিস্তানে প্রথম টেস্ট চলাকালেই সাকিবকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফেরাতে লিগ্যাল নোটিশ দেয় বিসিবিকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সফল সিরিজ শেষে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় মামলার পরবর্তি অবস্থান দেখে তাকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি। তার আগ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলতে সাকিবের কোনো সমস্যা নেই।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। ভারতে সেদিনই সাকিবেরও যোগ দেয়ার কথা দলের সঙ্গে। কিন্তু ভারত সফরের পরই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে দলের সঙ্গে থাকবেন কিনা সাকিব? এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, সাকিব ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আসবে খেলতে, আপাতত আমরা সেটুকুই জানি। সেটুকুর মধ্যে থাকতে চাই।
একইদিন হাথুরুর দেশে ফেরা নিয়ে বিসিবির এ পরিচালক জানান, হাথুরু অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। কোনো শঙ্কা নেই, তিনি যথাসময়ে ফিরে আসবেন।
এছাড়া ভারত সিরিজ নিয়ে বিসিবির এ পরিচালক জানান, পুরো দলকে পাওয়া যাবে, ইনজুরির কোনো সমস্যা নেই। সাকিব আল হাসান কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গেছেন, তবে বাকিরা সবাই উপস্থিত থাকবেন।
ভারত সফরকে কেন্দ্র করে কবে থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হবে এ বিষয়ে ফাহিম জানান, আগামী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে পুরো দলের অনুশীলন শুরু হবে। আবহাওয়ার কিছু সমস্যা হতে পারে, তবে আমরা সাধ্যমতো প্রস্তুতি নেব।
প্রসঙ্গত, ভারত সফরে বাংলাদেশ খেলবে দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে হবে প্রথম টেস্ট। এরপর বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে চলে যাবে কানপুরে। সেখানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। এই দুটি ম্যাচই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। প্রতিটি টেস্ট শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা থেকে।
দুই টেস্টের পর বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ভারত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় টাইগারদের বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে এটা বলাই যায়। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি হবে গোয়ালিওরে ৬ অক্টোবর। যে ম্যাচটির আগের ভেন্যু ছিল ধর্মশালায়। সেখানে সংস্কার কাজ চলায় ম্যাচটির ভেন্যু সরিয়ে গোয়ালিওরে নিয়ে আসা হয়।
পরের দুই ম্যাচ যথারীতি ৯ এবং ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম ও হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।