সরকারি বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়নে টেন্ডারিংয়ে একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে, এটাকে ভাঙতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। কাজগুলোকে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাব মুক্ত করা যাচ্ছে না। যে মন্ত্রণালয়গুলোর বেশি কাজ থাকে, আমরা বসেছিলাম এখানে কোথায় কোথায় সংশোধন আনলে এই বিষয়টাকে এড্রেস করতে পারব। এখানে কোন ঠিকাদার কাজ পাবে, কোন ঠিকাদার কাজ পাবে না, তা নিয়ে কথা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কাজের সর্বনিম্ন একটা টাকা আমরা যদি ঠিক করি। তা কথা গোপন থাকার কথা, কিন্তু সেটা প্রকাশ হয়ে যায়। তাই ঠিকাদাররা আর সেটার নিচে নামেন না। যেভাবে করে টেন্ডারিং চলছে এটা একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এটাকে ভাঙতে হবে। পাবলিক প্রক্রিমেন্টের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় ব্যত্যয় আছে, কোথায় কোথায় সংযোজন-বিয়োজন করলে আমরা এই সিন্ডিকেটটা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব, সেটা বোঝার জন্যই আজকের এই আলোচনা। প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার প্রক্রিয়াটা আজকে শুরু হলো। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণ এবং প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। প্রকল্প দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের সুযোগ দেওয়া হবে না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে ত্রাণ দেওয়ার সময় একটা বোর্ডে লেখা থাকতো- এত মন গম, এত মন চাল। এটাই আমরা বললাম, আপনি যে বলছেন ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ব্রেক ডাউনটা যাতে জেলা প্রশাসকরা প্রকৃত উপকারভোগীদের ডেকে এনে আলোচনা করে, যে এটা হবে। জেলা প্রশাসক তার মনোনীত লোকদের ডেকে গণশুনানি করলে তো হবে না। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের সময় এবং ব্যয় বাড়ানো হয়। এতে অনেকে লাভবান হয়। সেই বিষয়গুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’