বছরের পর বছর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও বিল পরিশোধ না করায় এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। আর এ অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাম্পের বিদ্যু সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ডিপিডিসির শ্যামলী কন্ট্রোল। এর পর থেকে অন্ধকারে রয়েছে জেনেভা ক্যাম্প।
এদিন রাত ৯টার দিকে ডিপিডিসির শ্যামলী কন্ট্রোলের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে আজাদ বলেন, ‘জেনেভা ক্যাম্পের বিদ্যুৎসংযোগের বিষয়ে আদালতে একটি মামলা ছিল। সে মামলা কয়েক মাস আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দাদেরই বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হবে।
এ কে আজাদ বলেন, ‘১৫-২০ দিন আগে আমরা ক্যাম্প নেতাদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমরা তাদের লিখিত চিঠিও দিয়েছি। আমরা বলেছি, প্রথমে দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে মিটার নিতে, এর পর আবাসিকে মিটার নিতে। আমরা তাদের সময়ও দিয়েছিলাম। তবে সে সময় পার হয়ে গেছে। কিন্তু তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।’
এই কর্মকর্তা জানান, জেনেভা ক্যাম্পের বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। জেনেভা ক্যাম্পের নেতারা বিদ্যুৎ বিভাগকে মিটার নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে লিখিতভাবে জানালে সংযোগ চালু হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী। সেইসঙ্গে পুরো জেনেভা ক্যাম্পকে বৈধ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা ‘কঠিন কাজ’ বলেও মনে করেন তিনি।
এদিকে, বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দারা। ঘরের বাতির সঙ্গে বন্ধ রান্নাও। কারণ, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পেয়ে বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না করতেন ক্যাম্পের অধিকাংশ বাসিন্দা।
এ বিষয়ে জেনেভা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান এ কে গোলাম জিলানী বলেন, ‘লাইন কাটার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ একটা অমানবিক কাজ করেছে। আরও কিছুটা সময় দেওয়া যেত। আমরা ঠিক মতো খেতেই পাই না, বিল দেব কীভাবে।’ এখন তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান এই নেতা।