লক্ষ্মীপুরে আবারও গ্যাস রিফিলের সময় একটি যাত্রীবাহী বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। বুধবার(১১ ডিসেম্বর) ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ইসলাম মার্কেট এলাকায় ফিলিং স্টেশনটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুর্ঘটনাকবলিত 'আল মদিনা' নামে লোকাল বাসটির যাত্রী আবুল কালাম (২১) ও বাসের কর্মী মো. রুবেল (৩০) নিহত হন।
নিহত কালাম পেশায় রং মিস্ত্রি, রুবেল বাস ড্রাইভার । সে পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। অন্য আহতরা হলেন নাইম ও আবুল হোসেন। আরেকজন আহতের পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, ভোর রাত ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটে চলাচলকারী আল-মদিনা পরিবহন নামের একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে আসে। ফিলিং স্টেশন থেকে বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন আরও তিন জন। ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, আল মদিনা নামের ওই বাসটি শহরের ঝুমুর এলাকায় রং এর কাজ শেষে ওই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসে। এসময় রং মিস্ত্রি আবুল কালামও ফিলিং স্টেশনে আসেন বাসের সঙ্গে। সেখানেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মারা যান তিনি। শীতের রাত হওয়ায় ফিলিং স্টেশনে গাড়ি চাপ ছিল না। অন্যথায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো।
গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমীন ও লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন জানান, এক জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলা এখনো চলমান। এখন আবার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য এর আগে চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর একই ফিলিং স্টেশনে বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় মেঘনা ক্লাসিক নামের একটি বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত হয় ৩ জন ও আহত হয় ২০ জন।