রাজধানীতে কাকরাইলের মসজিদকে ঘিরে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তাবলিগের দুইটি দলের মধ্যে। এই মসজিদটি তাবলিগ জামাতের মারকাজ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। মসজিদটি যার দখলে থাকবে তাবলিগের মাঠ তার দখলেই যাবে বলে মনে করেন অনেকে। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তেজনা চলছে নিজেদের মধ্যে। যদিও এর শুরু অনেক আগে থেকেই।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে তাবলিগের একটি পক্ষ মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসরণকারীরা কাকরাইলের মারকাজ মসজিদের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে। তবে মসজিদে আগে থেকে অবস্থান করা জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।
এদিকে, বিভক্ত তাবলিগকে কাকরাইল মসজিদে অবস্থান করা নিয়ে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন। সেই আলোকে জুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন কাকরাইলে। যদিও বিগত সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে বৈষম্য বলে দাবি করে আসছে উভয় পক্ষ।
এ নিয়ে গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সাদ অনুসারীরা। অপর দিকে জুবায়েরপন্থিরা কাকরাইল মসজিদে ১৫ নভেম্বর থেকে লাগাতার অবস্থান নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সাদ অনুসারীদের দাবি, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থিরা সারা বছর মাদ্রাসার নামে আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। কিন্তু হেফাজতপন্থি আলেমদের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জুবায়েরপন্থিরা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাকরাইল মসজিদ স্থায়ীভাবে দখল নেওয়ার ঘোষণা দেওয়াকে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মুসল্লি ও তাবলিগের অনুসারীরা ভয়াবহ সংঘাত ও হতাহতের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন।