Image description

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য শেষ ম্যাচ ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানরা সেটা রক্ষা করতে পারল না। শেষ ম্যাচে ৮০ রানের ব্যবধানে উইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

দলের হয়ে ৪১ বলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭২ রান করেন জাকের আলি। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ই ছিল না। এবার সে লক্ষ্য পূরণের পর প্রথমবার তাদের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো টাইগাররা।

তিন বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজে বিদেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের কোনো প্রতিপক্ষকে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড। সবমিলিয়ে তৃতীয়বার (এর আগে আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডকে) টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগাররা।

এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ব্যান্ডন কিং। ৫ বলে ৬ রান করে ফেরেন জাস্টিন গ্রেভস। ইনিংস বড় করতে পারেননি নিকোলাস পুরানও।

১০ বলে ১৫ রান করেন তিনি। খালি হাতে ফেলেন রোস্টন চেজও। এরপর ২৩ রান করে জনসন চালর্স রান আউট হলে দলীয় ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। এরপর রভম্যান পাওয়েল (২), গুঁড়াকেশ মোতি (১২), আলজারি জোসেফ ১ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দেন।

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন রোমারিও শেফার্ড। ২৭ বলে ৩৩ রান করে এই ডান হাতি ব্যাটার আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ রান করে ওবেদ ম্যাকয় আউট হলে ২০ বল হাতে থাকতে ১০৯ রানে গুঁটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এতে ৮০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ

বাংলাাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। তাসকিন আহমেদ এবং মাহেদী হাসান নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়াও তানজিম সাকিব এবং হাসান মাহমুদ শিকার করেন একটি উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাস। ১৩ বলে ১৪ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। তবে অপর প্রান্ত থেকে ২১ বলে ৩৯ রান করেন পারভেজ ইমন। ৯ বলে ৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম।

তবে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন জাকের আলী। ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন মিরাজ। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী। রান আউটে কাটা পড়েন শেখ মাহেদী। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন জাকের।

শেষ দিকে ১২ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তানজিম সাকিব। আর জাকেরের ৪১ বলের অপরাজিত ৭২ রানে ভর করে করে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন রোমারিও শেফার্ড। এ ছাড়াও আলজারি জোসেফ, রোস্টন চেজ ও মুড়াকেশ মোতি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮৯/৭ (জাকের ৭২*, পারভেজ ৩৯, মিরাজ ২৯, তানজিম ১৭, লিটন ১৪; শেফার্ড ২/৩০, চেজ ১/১৫, মোতি ১/৩০)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৪ ওভারে ১০৯ (শেফার্ড ৩৩, চার্লস ২৩, পুরান ১৫, মোতি ১২; রিশাদ ৩/২১, মেহেদী ২/১৩, তাসকিন ২/৩০, তানজিম ১/৩১, হাসান ১/৯)

ফল: বাংলাদেশ ৮০ রানে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ।

ম্যাচ সেরা: জাকের আলী (বাংলাদেশ)।

সিরিজ সেরা: মেহেদি হাসান মিরাজ (বাংলাদেশ)।