বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্যারিফ (বিদ্যুতের দাম) পর্যালোচনায় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব (উন্নয়ন-১) মোহাম্মদ সোলায়মানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার কমিটির আর্থিক মডেলিং বিশেষজ্ঞ ও পাওয়ারসেলের পরামর্শক তোহা মুহাম্মদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থ) অঞ্জনা খান মজলিশ ও পরিচালক (ক্রয় পরিদপ্তর) মো. নান্নু মিয়া।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান বা ‘দায়মুক্তি আইনের’ আওতায় নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্রয় চুক্তিতে অসংগতি খুঁজে বের করে এ সংক্রান্ত সুপারিশ করবে কমিটি। এ ছাড়া বিশেষ আইনে করা ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনা করে তা কমানো যায় কি না সে সুপারিশও করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস আদেশে বলা হয়, কমিটিতে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কোনো সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। এসব চুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে এসব কেন্দ্রের কাজ দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রগুলো থেকে যে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে তাতে ব্যয় অনেক বেশি পড়ছে বলে জানা গেছে।
দায়মুক্তি আইনের অধীনে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে যাওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে এটি বাতিলের দাবি তোলা হলেও তা আমলে নেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনটি বাতিল করা হয়। এখন কেন্দ্রগুলোর চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বিশেষ বিধান আইনটি করা হয় এবং দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই আইনের অধীন নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এর কারণে এটি দায়মুক্তি আইন হিসেবে পরিচিত। এই আইনের অধীন দরপত্র ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার একটার পর একটা চুক্তি করেছিল।