Image description

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে ভারতের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনও পাইনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের মতো আমিও এটা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। আমাদের কী করার আছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ।

এর আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সে দেশেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফেরানোর আহ্বান বাড়ছে।

এর মধ্যেই দেশটির গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা হাসিনা (৭৭) ভারতে থাকলেও তিনি যোগাযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। ৫ আগস্ট ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে আসেন তিনি। পরে দিল্লির একটি নিরাপদ বাসস্থানে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অবগত কয়েকজনের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যাতে ভারতে অবস্থান করতে পারেন, সে পথ সুগম করতে সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

তাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ওঠা গুঞ্জন নাকচ করে তারা বলেন, শরণার্থী ও আশ্রয় দেওয়ার মতো বিষয়গুলো বিবেচনার ক্ষেত্রে ভারতে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ম‌তো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে।

জোরপূর্বক গুমের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিক্ষোভে জোরপূর্বক গুম ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেখ হাসিনাও রয়েছেন তাদের মধ্যে।