চলতি জানুয়ারিতে দেশে তিন থেকে পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ মাসে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরিচালক মো. মমিনুল ইসলামের সই করা দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে দু-একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে, যার একটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের পশ্চিম, উত্তর এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, দেশের অন্যান্য অংশে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। শীতের অনুভূতি আরও বাড়ানোর কারণ হিসেবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়াকেই দায়ী করা হয়েছে।
এছাড়া, দেশব্যাপী মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বিশেষ করে উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম, দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে নদী-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু অঞ্চলে কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে, যা সড়ক, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং বিমান চলাচলে সাময়িকভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।
জানুয়ারিতে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ মাসে দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ১.৫০-৩.০০ মিলিমিটার এবং সূর্যের কিরণকাল ৫-৭ ঘণ্টা থাকতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। অন্য কোথাও কুয়াশা এবং বাতাসের কারণে দিনের তাপমাত্রা চার-পাঁচ ডিগ্রি কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি বাড়ছে। রাজধানী ঢাকায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আরও জানিয়েছেন, আগামী দু-তিন দিন পর্যন্ত এ ধরনের শীতল পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।