Image description

বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় নেতিবাচক প্রচারের কারণে বিদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। একইসঙ্গে বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নীতিতে কোনো সংস্কারের কার্যক্রম চলছে কি না, জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তিতে মেয়াদ বাড়ানো হতো। সেটি এ মুহূর্তে আর করা হচ্ছে না। আগামী ডিসেম্বরে সাত–আটজন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ শেষ হবে, তাদের আর সময় বাড়ানো হবে না। এটি আমাদের সংস্কারের একটি অংশ।

বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা বা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে কি না, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্থিরতা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তৌফিক হাসান বলেন, ইদানীং কিছু পত্রপত্রিকায় কিছু রাষ্ট্রদূত বা কর্মকর্তাকে নিয়ে নেতিবাচক তথ্য দেখা যাচ্ছে, এটি সত্যিই খুবই দুঃখজনক। কারণ, একজন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার ২০-২৫ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে পৌঁছান। যদি তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে সরকার তাকে নিয়োগ দেয় না।

তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তারা ভালো কাজ করছেন না এবং এর মাধ্যমে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বিদেশের মাটিতে তুলে ধরছেন। সরকার কিন্তু জেনেশুনেই একজন যোগ্য ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন।

তৌফিক হাসান সাংবাদিকদের আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে, আপনারা ভেতরের খবরটা জেনেবুঝে প্রতিবেদন করবেন। এমন কোনো কাজ করবেন না, যা বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বাইরে তুলে ধরে।