‘কুঁড়েঘর’ ব্যান্ডের প্রধান ভোকাল তাসরিফ খান। কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায়ই ফেসবুকে লেখালেখি করেন এই শিল্পী। দেশের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছেন। এবার নিজের দল ‘কুঁড়েঘর’ নিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন এই শিল্পী।
মূলত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জেলা ভিত্তিক ছাত্র কল্যাণ সমিতির আমন্ত্রণে কনসার্টে পারফর্ম করতে গিয়ে খারাপ এক অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন তাসরিফ ও তার দল ‘কুঁড়েঘর’। সেই অভিজ্ঞতার কথা রোববার দিবাগত রাতে পোস্টে বিস্তারিত নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেন এই শিল্পী।
পোস্টে ‘কুঁড়েঘর’-দলের বাকি সদস্যদের সাথে একটি ছবি পোস্ট করে এদিন তাসরিফ লেখেন, রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার সমস্ত শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়। কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি। মূলত এই কনসার্ট এর আয়োজক ছিল জাবির ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’। প্রথমে আমাদের স্টেজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮ টায়। শো-এর আগের দিন আয়োজকরা আমাদের বলেন আমরা স্টেজে উঠবো রাত ১১ টায়। উনাদের জানানো সময় অনুযায়ী আমরা রাত ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই। এসেই শুনি উনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদেরকে আরও পরে উঠানো হবে। সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্ট এর জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না।
আয়োজকদের উদ্দেশ্যে এসময় তাসরিফ লিখেন, আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ডকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেননি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়ত এটাও জানতো না যে ‘কুঁড়েঘর’ এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করে ছিল তাদের গান শোনাতে।
এসময় হতাশা প্রকাশ করে এই শিল্পী লিখেন, বাংলাদেশের ব্যান্ড সিনারিওতে এই গল্প কোন নতুন গল্প নয়। বাস্তবতা হচ্ছে সকল ব্যান্ড প্রায় সব কনসার্টেই সময় মতো পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে পারফর্ম করে এবং কেউ এটা নিয়ে কখনও কমপ্লেইন করে না। আমরা যারা ব্যান্ড করে পারফর্ম করে বেড়াই, কেবল আমরাই জানি একটা কনসার্ট এর গুরুত্ব আমাদের কাছে কতটুকু রয়েছে কিংবা প্রতি শো এর পেছনে আমাদের কত গল্প কত আবেগ জড়িয়ে থাকে।
তাসরিফ আরও লিখেন, আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চয় আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সঙ্গে।