ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম (সিন্ডিকেট) থেকে পাঁচ সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের কারণে অনুপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তাদের বাদ দেওয়া হয়। যার ফলে,পরবর্তী সিন্ডিকেট মিটিংয়ে তারা বসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর।
রোববার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সিন্ডিকেট সদস্য থেকে বাদ পড়া পাঁচজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক মো. আব্দুস সামাদ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ আহসান, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরীফ উল ইসলাম ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহিন মোতিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত মিটিংয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। নানা মহল থেকে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য বলেছেন। যার প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভার বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে দায়িত্বে আছেন ঢাবির আইন অনুষদের সাবেক ডিন নকীব মুহম্মদ নসরুল্লাহ সহ পাঁচজন। তাদের সিদ্ধান্তে ওই পাঁচ সদস্যকে অনুপযুক্ত কারণ দেখিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা প্রভাষক, সহকারী ও সহযোগী ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করেছেন তারা সবাই পদোন্নতি পেয়েছেন। সিন্ডিকেট সভায় এটা যেহেতু পদোন্নতির কারণে সে পদের প্রতিনিধিত্ব করছেন না তাদের ছাড়া সিন্ডিকেট বসতে পারে। এছাড়া ডিন ও প্রভোস্ট পদে যারা রয়েছেন তারাও আন্দোলনের পর পরিবর্তন হয়েছেন। তাই, তারা ডিন ও প্রভোস্ট ক্যাটাগরিতে বাদ পড়েছেন। পরবর্তী সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ১৩জন দিয়ে সিন্ডিকেট মিটিং বসবে।