লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অসহায় এক পরিবারের বসতঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী সফিক উল্যার বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ফাজিল মিয়ার হাটের হাশিম খলিফার বাড়ির হাফিজ উল্যার ছেলে মো. আজাদ নিজ জমিতে বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবেশী সফিক এসে বাঁধা দেয় এবং বল প্রয়োগ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে অসহায় পরিবারটি বসতঘর নির্মাণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
ভুক্তভোগী আজাদ উদ্দিন বলেন, আমার চাচা ও প্রতিবেশী সফিকের সাথে আমাদের অন্য একটা জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে। ওই জমি আমরা একজনের কাছ থেকে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে কিনেছি। কিন্তু আমার চাচা জোরপূর্বক জায়গাটি দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করে আসছেন। এই জমি তিনি কিনেছেন বলে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু সঠিক কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেন না। আমাদের পরিবার অসহায় হওয়ায় এ নিয়ে কয়েকবার তিনি আমাদের উপর লোকজন নিয়ে হামলা করেছেন। যাতে তার ভয়ে আমরা জমি ছেড়ে দিই। আজ আমাদের নিজস্ব বসতঘরের স্থানে পুনরায় ঘর মেরামত করতে গেলে সেই জমিও তার বলে আমাদের ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করে। আমরা ঘর নির্মাণ বন্ধ না করাতে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে উলটো তিনিই ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ এনে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। উনি এলাকার প্রভাবশালী মহলের দ্বারা আমাদের চাপ প্রয়োগ করে যাতে আমরা এই জমি ছেড়ে দেই। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসন সহ সকলের নিকট এর সুস্থ বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় ফুলবানু ও আনোয়ার উল্যা জানান, অভিযুক্ত সফিক উল্যাহ একজন মামলাবাজ। সে বিভিন্ন মানুষকে অকারণে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এছাড়াও সে বিভিন্ন মানুষের জমি দখলের জন্য পায়ঁতারা ও ষড়যন্ত্র করে বেড়ায়। সে খুবই খারাপ মানুষ।
অভিযুক্ত মো. সফিক উল্যার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই জমি আজাদের বাবা আমার স্ত্রীর কাছে বিক্রি করেছে। এই জমির মালিক এখন আমার স্ত্রী। এজন্য আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দিয়েছি। হামলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।