Image description

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুকে ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছে। মালদহের হবিবপুর ব্লকের টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়ার মাঝে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গত ২ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। গতকাল শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা যায়।

প্রতিবেদনে ফয়সাল আহমেদ রুনুকে ‌‘ফয়জল আহমেদ’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

ভারতীয় পুলিশের বরাতে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফয়সাল ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী জেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘তাকে জেরা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’

পুলিশ ও বিএসএফ সূত্র জানায়, গত ২ নভেম্বর দুপুরে হবিবপুর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তে টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের মাঝখান দিয়ে উন্মুক্ত সীমান্তপথে ওই যুবক ভারতে প্রবেশ করেন। তখন সেখানে টহলরত বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাকে আটক করেন। সেদিন বিকালে তাকে হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। পরের দিন পুলিশ তাকে কোর্টে হাজির করে বিচারকের নির্দেশে প্রথমে তিন দিন ও পরে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।

ফয়সাল পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে তিনি প্রায় দু’মাস আত্মগোপনে ছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায়। তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর সরকার তিনবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০০৮ সালে নওহাটা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তার ছেলে ফয়সাল আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে জড়িয়ে পড়েন ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতিতে। সবশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং দায়িত্বে ছিলেন ২০২৩ সাল পর্যন্ত। গত জুনে তিনি রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পান।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা