Image description

খাগড়াছড়িতে আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরবর্তীতে ঘটা সহিংসতার বিষয় তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এই তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জন্য কমিটি করা হয়েছে। নতুন করে যাতে সহিংসতা না বাড়ে সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগে সদর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত শিক্ষকের নাম আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা; তিনি সিভিল কন্সট্রাকশন অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ইন্সট্রাকটর ছিলেন।

এ ঘটনার পর জেলা শহরের পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরের চেঙ্গী স্কয়ার, মহাজনপাড়ায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ, সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় বিকাল ৩টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।