Image description

লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ ও লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার পদত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা আরিফুজ্জামান আরিফ নিজেকে রাজাকার দাবি করে সোমবার রাত ৯টায় তার নিজের ফেসবুক' এ পোষ্ট দিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

এছাড়া লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আজমাউল খন্দকার 'সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত নৈতিকতা বিরোধী' উল্লেখ করে সোমবার রাত ১১টায় তার নিজের ফেসবুক' এ পোষ্ট দিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) পোস্টে লেখেন, আমি আরিফুজ্জামান আরিফ সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সদর উপজেলা এই পদে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি স্বইচ্ছায় স্বজ্ঞানে এই পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। আমি বা আমার পরিবার কেউ মুক্তিযোদ্ধা না আমরা রাজাকার। জীগিষা'।

লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'আমি সর্বদাই শিক্ষাভিত্তিক রাজনীতি চর্চা করেছি। শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ ছিল আমার পরম ব্রত। তবে আজকের আক্রমনাত্মক ছাত্ররাজনীতি আমায় ব্যথিত করেছে ও আমার সংবেদনশীল অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত নৈতিকতা বিরোধী। তাই আমি সজ্ঞানে আমার মস্তিষ্কের দুইশো বিলিয়ন নিউরন ব্যবহার করে বিবেকের দাঁড়িপাল্লায় দাঁড়িয়ে আজ থেকে ছাত্ররাজনীতি থেকে সরে গেলাম এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।

এব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম বলেন, ফেসবুক'এ পদত্যাগকারী ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। তারা ছাত্রলীগ নেতা হয়ে ভিন্ন মতাদর্শ লালন করে। তারা ছাত্রলীগ থেকে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে গেছে এতে আমরা খুশিই হয়েছি। এরা ছাত্রলীগে কিভাবে ঢুকেছে এটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।