বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। উপভোগ করেন সাগরের নীল জলরাশি আর ঢেউয়ের গর্জন সাথে হিমেল হাওয়ায় মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ। উপভোগ করেন পরিবার-পরিজন, বন্ধু বান্ধব, গ্রুপ ট্যুর, অফিসিয়াল ট্যুরে এসে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগরের পাড় ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য।
পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে টুরিস্ট পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ এই স্লোগানে সৈকতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার। কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ যোগদানের পর থেকে পর্যটকের নিরাপত্তা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। পর্যটন জোনকে অপরাধ মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধের স্বর্গরাজ্য ধ্বংস করে দেন। হয়ে উঠেন অপরাধীদের মূর্তিমান আতঙ্ক। তার নেতৃত্বে টুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের হয়রানি, ছিনতাইসহ নানান অপরাধ কর্মকাণ্ড বন্ধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সৈকত জুড়ে রয়েছে টুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম। পাশাপাশি সাদা পোষাকে কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশের গোয়েন্দা টিম। অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। সৈকতের ক্যামেরাম্যান ও ঘোড়া মালিক কর্তৃক যেন কোন পর্যটক হয়রানি না হয়, সে জন্য তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কোথাও কোন পর্যটক হয়রানির শিকার বা হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ ছাড়া পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এ প্রথম কক্সবাজার বীচে নিয়ে আসলো দুটি ঘোড়ার গাড়ি। ঘোড়া দুটির নাম হলো পঙ্খিরাজ ও রাজ ময়ূর। এছাড়া ২টি মোটরচালিত পঙ্খিরাজইজিবাইক ও যুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে পর্যটকদের ভিতর একটি সুন্দর অনুভূতি লক্ষ করা গেছে। তারা এধরণের ট্যুরিস্টসেবা আগে কখনো দেখেনি বলে মন্তব্য করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আপেল মাহমুদ ইতোমধ্যে পর্যটন খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত থেকে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার, জয় বাংলা ইউথ এওয়ার্ড, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সম্মাননা এওয়ার্ড, গ্রীন লিফ বেষ্ট (ঘও) পারফরম্যান্স এওয়ার্ড লাভ করেন।