রাজস্ব আদায়ে গত জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে। এনবিআরের সবশেষ হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বরে সার্বিকভাবে শুল্ক ও কর আদায়ে ঘাটতি ২৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা।
এনবিআরের হিসাব অনুসারে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৯৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় ৭০ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা।
এই তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এনবিআর। সরকার পরিবর্তনের পরও আবার ব্যবসা–বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যে কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় করা যায়নি বলে জানিয়েছে এনবিআর।
এদিকে, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির পর এবার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিলো আইএমএফ। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। তবে বাজেটে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। করোনা মহামারির সময় বাদ দিলে এ প্রবৃদ্ধি গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর এ বছর মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হতে পারে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হবে, সম্প্রতি হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেয় বিশ্বব্যাংক। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সাম্প্রতিক বন্যা এর অন্যতম কারণ বলে জানায় সংস্থাটি। এর আগে প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দেয় আরেক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি। এবার একই পথে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফও।
আইএমএফ বলছে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশে মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে নিম্ন প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে জুনে পূর্বাভাস ছিলো ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির।