Image description

বিএনপি জনস্বার্থে রাজনীতি করে জানিয়ে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, সাধারণ জনগণ কী চায়? জনগণ কী প্রত্যাশা করছে? জনগণের সেই চাওয়া ও প্রত্যাশা নিয়েই বিএনপি এগিয়ে যেতে চায়। জনগণের গণতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা লড়াই করে যাব।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং ঘরোয়া মোড় ও দোয়ারীপাড়া এলাকার বিভিন্ন স্পটে দলীয় ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও দলীয় অস্থায়ী অফিস অপসারণকালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদেরকে এলাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ বিভিন্ন জিনিস লাগাতে হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ এটাকে ভালো চোখে দেখে না, মানুষ এটাকে ভালোভাবে নেয় না। সেই জায়গা থেকেই আমরা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের থানা-ওয়ার্ডের দলীয় বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নামিয়ে সবকিছু পরিষ্কার করে ফেলতে হবে এবং সকল দলীয় অস্থায়ী কার্যালয় অপসারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষ হয়তো ভাবছে- আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপিও সেটাই করছে। সেই বদনামের দায়ভার আমরা নিতে চাই না।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ যে ভুল করেছে, আমরাও যদি সেই একই ভুল করি- তাহলে আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের পার্থক্য রইলো কোথায়? আওয়ামী লীগ বিগত ১৭ বছরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অফিস বানিয়েছে। কিন্তু তারা আমাদেরকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে একটা অফিসও ব্যবহার করতে দেয়নি। তারপরও আমরা হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের অনেকেই অতি উৎসাহিত হয়ে কিংবা ভুল করে আওয়ামী লীগের দখলকৃত জায়গা পুনরুদ্ধার করতে গিয়েছে। আসলে পুনরুদ্ধার করতে গেলে কিন্তু সেটাকে আর পুনরুদ্ধার বলে না! এ প্রসঙ্গে অনেকের ভাবনা এমন যে, আওয়ামী লীগ দখল করেছে, বিএনপিও এসে আবার এটাকে পুনরায় দখল করে নিয়েছে। আমরা কিন্তু এই বদনামের ভাগীদার হতে চাই না। এই কারণেই আমরা গত ০৯ নভেম্বর রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৬টি থানা ও ৭১টি ওয়ার্ডের সকল দলীয় নেতাকর্মীকে ৩ দিনের মধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও দলীয় কার্যালয় অপসারণ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে আমি আজকে পল্লবী রুপনগরের বিভিন্ন স্পষ্টে সরেজমিনে এসে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ নিজ হাতে করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা মাহাবুব আলম মন্টু, রুপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক অলিউল হাসনাত তুহিন, পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি হাজী নূর সালাম, রুপনগর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর এর যুগ্ম আহ্বায়ক আসরাফ আলী লিটন, পল্লবী থানা ছাত্রদল সভাপতি জুয়েল খন্দকার, পল্লবী থানা মহিলা দল সভাপতি লাকী রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা দিলারা পলিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।